স্টাফ রিপোর্টার :
ফেনীতে করোনায় সুস্থের হার ২৩ শতাংশ
ফেনীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৩ জন। এদের মধ্যে ১৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। শতকরা হিসাবে জেলায় মৃতের হার ২ দশমিক ১৪ শতাংশ ও সুস্থ ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ফেনীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃতের হার সোনাগাজীতে। এখানে মৃতের হার ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জেলার পরশুরাম উপজেলায় বেশি হারে করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এখানে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৯৩ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ফেনী সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। শতকরা হিসাবে এই উপজেলায় মৃতের হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও সুস্থ ১৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সোনাগাজীতে ১০৪ জনের শরীরে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জন সুস্থ হয়েছেন। উপজেলায় সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শতকরা হিসাবে মৃতের হার ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও সুস্থ ১৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
দাগনভূঞা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩১ জন। এখানে মারা গেছেন দুইজন; শতকরা হিসাবে মৃতের হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সুস্থ ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
ফুলগাজী উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। এখানে চারজন সুস্থ হলেও কেউ মারা যাননি। উপজেলায় শতকরা হিসাবে সুস্থ হয়েছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ করোনা রোগী।
ছাগলনাইয়ায় ৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জন সুস্থ ও দুইজন মারা গেছেন। উপজেলায় শতকরা হিসাবে মৃতের হার ২ দশমিক ২৪ শতাংশ ও সুস্থ ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
পরশুরাম উপজেলায় ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হলেও কেউ মারা যাননি। শতকরা হিসাবে সুস্থ হয়েছেন ৪১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এছাড়া ফেনীর বাইরের বাসিন্দাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন সুস্থ হয়েছেন। তবে কেউ মারা যাননি। এখানে ৪০ শতাংশ হারে করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।
ফেনীর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া নিয়ম-কানুম মেনে চললে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অবিশ্বাস্য হারে কমে যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ঘরে থাকা, নিয়মিত মাস্ক পরা ও ২০ মিনিট পর পর সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
ফেনী জেলা বিএমএর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে ওষুধ সেবন ও শরীরের প্রতি যত্ন নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হলে অথবা বের হওয়ার সময় মাস্কসহ সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”